Download WordPress Themes, Happy Birthday Wishes

প্রতারণায় ১৯৭৮ বিশ্বকাপকে ছাড়িয়ে গেছে ২০২২

ক্রীড়ালোক প্রতিবেদকঃ

ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে তিনটি শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা । লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে , আর্জেন্টিনার তিনটি বিশ্বকাপের দুটিতেই লেগে আছে বড় ধরণের কলংকের দাগ । ১৯৭৮ সালে নিজেদের মাটিতে আয়োজিত বিশ্বকাপে রয়েছে আর্জেন্টিনার সামরিক জান্তার প্রভাব বিস্তার আর ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ । সম্প্রতি ২০২২ সালের  কাতার বিশ্বকাপেও আর্জেন্টিনার প্রতি বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা ফিফা’র প্রত্যক্ষ মদদের বিষয়টি স্পষ্ট । 

১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপ নিয়ে অনেক অভিযোগ আছে । সেই সময়ে আর্জেন্টিনায় ছিল কুখ্যাত একনায়ক জর্জ রাফায়েল ভিদেলারসামরিক শাসন । আর্জেন্টিনার কাঁধে বিশ্বকাপ আয়োজনের ভার তুলে দেওয়ায় ফিফাকেও কম সমালোচনা সহ্য করতে হয়নি । মানবাধিকার আর আইনের শাসনের অনুপস্থিতি আর্জেন্টিনার সেই বিশ্বকাপকে পরিচিতি দিয়েছে ইতিহাসের সবচেয়ে ‘কুখ্যাত’ আয়োজন হিসেবে। আর্জেন্টিনার সামরিক জান্তার আয়োজনের প্রতিবাদ করে বিশ্বকাপ খেলতে যান নি পশ্চিম জার্মানির পল ব্রেইটনার । এছাড়া হল্যান্ডের সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়দের একজন ইউহান ক্রুয়েফ যান নি আর্জেন্টিনায় । পরবর্তীতে জানা যায় , বিশ্বকাপের কিছুদিন আগে ক্রুয়েফ তাঁর পরিবারের সদস্যদের  অপহরণের  চেষ্টা হয়, আর এতে তিনি ভয় পেয়েছিলেন। আর  সেই অপহরণ চেষ্টার নেপথ্যে ছিল আর্জেন্টিনার সামরিক জান্তা । উল্লিখিত সময়ে ক্রুয়েফ ছিলেন ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকা । হল্যান্ড ছিল বিশ্বকাপের দাবীদার । ক্রুয়েফকে দল থেকে সরিয়ে দিয়ে আর্জেন্টিনার সামরিক জান্তা দূর করেছিল পথের কাঁটা । 

আর্জেন্টিনা গ্রুপ পর্ব থেকেই নেয় বাড়তি সুবিধা । নিজেদের প্রতিটা ম্যাচ আয়োজন করে রাতে । গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে মাঠে নামার আগেই আর্জেন্টিনা জেনে গিয়েছিল গ্রুপের কোথায় দাঁড়িয়ে তারা। এই ঘটনার  পর ফিফা নিয়ম করে , গ্রুপের শেষ ম্যাচ একই সময়ে আয়োজনের । 

প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনা কোনমতে ২-১ গোলে হারায় হাঙ্গেরিকে । ম্যাচের শেষ হাঙ্গেরি কোচ লায়োস বারোটি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন , ‘খেলা নয় , প্রহসন হয়েছে । রেফারি থেকে শুরু করে সবকিছু আর্জেন্টিনার পক্ষে কাজ করছে । এটা ফুটবলের জন্য লজ্জার । ‘

ফ্রান্সের বিপক্ষে আর্জেন্টিনাকে জেতাতে সহায়তা করেন রেফারি । গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে নিজেদের বক্সে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক ড্যানিয়েল পাসারেল্লা মারাত্মক ফাউল করেন দিদিয়ের সিক্সকে । কিন্তু রেফারি নিশ্চিত পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত করেন ফরাসিদের । আবার সেই ম্যাচের ৪৫ মিনিটে বলের উপর পড়ে যাওয়ার অপরাধে পেনাল্টি দিয়ে বসেন ফরাসি খেলোয়াড় মারিয়েস ট্রেসর বিপক্ষে । রেফারির  দাবী ,  ট্রেস হ্যান্ডবল করেছে ! ম্যাচটি আর্জেন্টিনা জিতে নেয় ২-১ গোলে । 

আর্জেন্টিনা সবচেয়ে বেশী বিতর্কের জন্ম দেয় দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষ ম্যাচে পেরুর বিপক্ষে । দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম তিন ম্যাচ শেষে ব্রাজিল ফাইনালের জন্য ছিল সবচেয়ে এগিয়ে । এখানে ব্রাজিল ৩-০ গোলে পেরুকে আর ৩-১ গোলে হারায় পোল্যান্ডকে । গোলশূন্য ড্র করে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে । অন্যদিকে আর্জেন্টিনা প্রথম ম্যাচে ২-০ গোলে পোল্যান্ডকে হারাবার পর ড্র করে ব্রাজিলের বিপক্ষে । 

তৃতীয় রাউন্ডে ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনার নিজ নিজ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল একই সময়ে । কিন্তু সেই ম্যাচ আরম্ভ হয়েছিল ব্রাজিল পোল্যান্ড খেলার পর । অর্থাৎ মাঠে নামার আগে আর্জেন্টিনা নিশ্চিত হয়ে নিয়েছিল ফাইনালে উঠতে পেরুর বিপক্ষে কমপক্ষে চার গোলের ব্যবধানে জিততে হবে ! আর সেটাই হয়েছিল , চার গোল নয় বরং ৬-০ গোলের ব্যবধানে পেরুকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে স্বাগতিক আর্জেন্টিনা ।ফাইনালে আর্জেন্টিনা ৩-১ গোলে হারায় হল্যান্ডকে । গোটা ম্যাচে স্বাগতিক দর্শকদের বিরুপ আচরণের বিপক্ষে খেলতে হয় ডাচদের । বুয়েন্স আইরেস শহর থেকে দুরে রিভার প্লেটের হোম ভেন্যু এস্টাডিও মনুমেন্টালে অনুষ্ঠিত ফাইনালে হারের পর পোস্ট ম্যাচেই যোগ দেয়নি রানার্সআপ নেদারল্যান্ডস।

অভিযোগ ওঠে , ম্যাচটি ছেড়ে দেয়ার জন্য পেরুকে বিপুল পরিমান অর্থ আর খাদ্যশস্য সহায়তা হিসেবে দেয় আর্জেন্টিনার সামরিক সরকার । আসলে বিরোধী মত দমনে হত্যা , গুম আর গ্রেফতারে কলংকিত আর নিন্দিত সেই সময়ে আর্জেন্টিনার সামরিক শাসক  ভিদেলা বিশ্বকাপের মাধ্যমে নিজের ইমেজ বিশ্বের কাছে উজ্জ্বল করার চেস্টায়  মরিয়া ছিলেন। সেই কারণে ফাইনালে ওঠার জন্য সামরিক সরকার কোন দুর্নীতি অবলম্বনে দ্বিধা করে নি । সেই সময়ে পেরুর ব্যাংকিং পরিচালনা করতো আর্জেন্টিনা সেন্ট্রাল ব্যাংক এবং অভিযোগ রয়েছে, রাতারাতি পেরুর ফুটবলারদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফুলে ফেঁপে উঠেছিল। আবার পেরুর বামপন্থি নেতারা দাবি করেন, বিশ্বকাপে এই ম্যাচে হারের কারণে আর্জেন্টিনায় বন্দী থাকা ১৩জন বিদ্রোহীকে পেরুর হাতে তুলে দিয়েছিল আর্জেন্টাইন সরকার। 

২০১২ সালে এই বিষয়ে মুখ খোলেন পেরুর সাবেক সংসদ সদস্য জিনারো লেদেসমা । তিনি বুয়েন্স আইরিসের আদালতে অভিযোগ করেন , ম্যাচের আগেই ফলাফল নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছে গিয়েছিল দুই দেশের সরকার । তখনকার বিরোধী দলে থাকা লেদেসমা জানান , আর্জেন্টিনার একনায়ক জর্জ ভিদেলা বিশ্বকাপে ওই খেলায় তার দেশের ফাইনালে ওঠার মতো পর্যাপ্ত গোলে পেরুর হারার শর্তে রাজবন্দী বিনিময় করেন !

সেই সময় দুই দেশেই চলছে সামরিক শাসন । সাধারণ মানুষ না চাইলেও নিজেদের স্বার্থে সামরিক শাসকদের মধ্যে ছিল দারুণ আঁতাত । আর সেটাকেই নানা উপঢৌকনের মাধ্যমে কাজে লাগিয়ে পেরুকে পরিকল্পনামাফিক হারিয়ে ফাইনালে উঠে যায় আর্জেন্টিনা । 

১৯৭৮ সালের পর আর্জেন্টিনা নিজেদের ইতিহাসের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জিতেছিল ১৯৮৬ সালে । মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে দিয়াগো ম্যারাডোনার ‘হ্যান্ড অফ গড’ গোল নিয়ে বিতর্ক এখনও থামে নি । তবু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের নির্দিষ্ট ঘটনা ছাড়া আর্জেন্টিনার ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ জয় ছিল অনেকটাই কলংকমুক্ত । একজন ম্যারাডোনা অতি মানবিক পারফর্মেন্স দিয়ে সাধারণ মানের দলকে জিতিয়েছেন বিশ্বকাপ । ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই তাঁর দ্বিতীয় গোলটি ছিল বিশ্বকাপ ইতিহাসের সেরা । ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ জেতার পর ম্যারাডোনা হয়েছেন ফুটবল দুনিয়ার ‘মহানায়ক’ । হয়েছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল ইশ্বর । তাঁকে ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলারের আসনে বসাতেও আপত্তি নেই কারো । আর আর্জেন্টিনার সর্বকালের সেরা তো বটেই । 

এদিকে , দীর্ঘ ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনা জিতেছে তৃতীয় বিশ্বকাপ । কিন্তু কাতারে আর্জেন্টিনার জয়কে বলা হচ্ছে ফুটবল ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড় কেলেংকারি’ । বিশ্বকাপের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টিনাকে একচেটিয়া সুবিধা দিয়ে জেতানো হয়েছে ট্রফি ।পুরো আসরে আর্জেন্টিনাকে পাঁচটি হাস্যকর পেনাল্টি দেয়া হয়েছে । সৌদি আরব , পোল্যান্ড , হল্যান্ড , ক্রোয়েশিয়া আর ফ্রান্সের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার পাওয়া পেনাল্টি নিয়ে বিক্ষুব্ধ ফুটবল পণ্ডিত আর সাবেক ফুটবলাররা ।

১৮ ডিসেম্বর লুসাইল স্টেডিয়ামের ফাইনালের কথাই ধরা যাক । নাইজেরিয়ার সাবেক ফুটবলার জুলিয়াস আঘাহোয়া দাবী করেছেন , ফ্রান্সের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ফাইনালটি ছিল প্রহসন । এছাড়া উরুগুয়ের সাবেক অধিনায়ক দিয়াগো লুগানো কয়েকদিন আগেই বলেছেন , ‘ কাতারে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানোর জন্য কাজ করেছে স্বয়ং ফিফা । আর্জেন্টিনাকে পেনাল্টিসহ নানা সুবিধা দিয়ে শিরোপা জেতানো হয়েছে । আসলে ফিফা ফুটবলের পরিবেশটাকেই বিষিয়ে তুলেছে । ‘

কি হয়েছিল কাতারে ? কি হয়েছিল ১৮ ডিসেম্বর লুসাইল স্টেডিয়ামের ফাইনালে ? নাইজেরিয়ার জুলিয়াস আঘাহোয়ার বক্তব্য , ‘  আর্জেন্টিনাকে পেনাল্টি দেয়া হবে , জেতানো হবে – এমন সিদ্ধান্ত আগে থেকেই নেয়া । নইলে ডি মারিয়া ফ্রান্সের ডি বক্সে প্রতিপক্ষের স্পর্শ ছাড়া পড়ে গিয়েও কিভাবে পেনাল্টি পায় ? ‘ 

উল্লেখ্য , ম্যাচের ২৩ মিনিটে আনহেল ডি মারিয়া প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকেছিলেন বল নিয়ে । এই সময় তার পেছনে ছিলেন ফরাসী উইঙ্গার উসমান ডেম্বেলে । তাঁর স্পর্শের আগেই মারিয়া ডাইভ দেন বক্সে। পড়ে যাওয়ার মুহূর্তে ডেম্বেলের পায়ের হাল্কা ছোঁয়া  লাগে ডি মারিয়ার পায়ে । সাথে সাথে পোলিশ রেফারি বাজান পেনাল্টির বাঁশি । যা হতবাক করে পুরো ফুটবল বিশ্বকে ।  

আসলে বিশ্বকাপের শুরু থেকেই আর্জেন্টিনাকে ট্রফি জেতাতে বদ্ধ পরিকর ছিল ফিফা । সৌদি আরবের বিপক্ষে খেলার আট মিনিটে কর্নারের কাছে মেসির ফ্রি কিক থেকে উড়ে আসা বলে লিয়েন্দ্রো পেরাদেস  আল ফারাজের সাথে শারীরিক শক্তিতে না পেরে পড়ে যান । যা ভিডিও রিভিউ করে পেনাল্টি দেন রেফারি । অথচ বক্সের মধ্যে দুই দলের খেলোয়াড়রা একে অন্যকে ধরার বা আটকে রাখার চেষ্টা খুব সাধারণ বিষয় । আবার পেরাদেসকে ফাউল করার অপরাধে পেনাল্টি দেয়ার সময় বল ধারেকাছেও ছিল না । বরং সৌদি গোলরক্ষক নিরাপদ দূরত্ব থেকে বল বিপদমুক্ত করেছিলেন । সেই ঘটনায় পেনাল্টি দিয়ে রেফারি দিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার পক্ষে থাকার প্রথম বার্তা , যা পুরো আসরে বহাল ছিল ।

পোল্যান্ডের গোলরক্ষক সেজনির সাথে মেসির সামান্য আঘাত , যেখানে মেসির বল পাওয়ার কোন সম্ভাবনা ছিল না – সেখানে দেয়া হয়েছে পেনাল্টি । সেটাও var নাটক করে ।হল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৩ মিনিটে আর্জেন্টিনার পেনাল্টি ছিল আরও  হাস্যকর । প্রথমত ডেনজেল ডামফ্রিসের ট্যাকল ফাউল হয়েছে কিনা কিংবা ফাউল হলেও পেনাল্টির মতো কিনা , সেটা নিয়ে তর্কে মেতেছেন বিশেষজ্ঞরা ।  তাছাড়া মার্কাস আকুইনা ছিলেন ডি বক্স লাইনের কিছুটা পেছনে । কিন্তু রেফারি ঠিক বাজিয়ে দেন ফাউলের বাঁশি ।একই ম্যাচে শেষ ডিফেন্ডারকে এড়াতে হাত দিয়ে বল স্পর্শ করেন লিওনেল মেসি । কিন্তু সেই ঘটনায় ন্যায্য লাল কার্ড দেয়া হয় নি মেসিকে ।

ক্রোয়েশিয়া ম্যাচেও আর্জেন্টিনা পেনাল্টি পেয়েছে অদ্ভুত পেনাল্টি । ৩৪ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে হাওয়ায় বল ভাসিয়ে দেন এনজো ফার্নান্দেজ। হুলিও আলভারেজ সেই বল ধরতে ছোটেন। ক্রোয়েশিয়ার গোলকিপার ডমিনিক লিভাকোভিচের ডান পাশ দিয়ে লব করতে চেয়েছিলেন তিনি। ক্রোয়েশিয়ার সেন্টার ব্যাক দিহান লভরেন বল ক্লিয়ার করে দেন। তবে তার আগে ক্রোট গোলকিপার এগিয়ে আসায় বাঁধার মুখে পড়েন আলভারেজ । কিপারের শরীরে লাগতেই তিনি পড়ে যান । পড়ে যান ক্রোট কিপার । এই ঘটনাতেই রেফারি দিয়ে বসেন পেনাল্টি !

রেফারির পেনাল্টি সিদ্ধান্তে হতবাক সবাই । গ্যারি নেভিল, রয় কিন ও ইয়ান রাইট- তিন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন,  এই ঘটনায়  পেনাল্টি হয়  না। কারণ , এমন ঘটনায় কিপারদের এগিয়ে আসা স্বাভাবিক । আর ধাক্কা যদি লেগেও থাকে , সেটা দিয়েছেন আলভারেজ । তাই ফাউল এখানে হবে আলভারেজের বিপক্ষে ।আর তাছাড়া দুই খেলোয়াড়ের মুখোমুখি হবার আগেই বল চলে গিয়েছিল আরেকদিকে । আলভারেজ বাঁধা না পেলেও গোল হবার কোন সম্ভাবনা ছিল না ।  

কাতারে অনুষ্ঠিত পুরো আসরে মেসির হাতে বিশ্বকাপ তুলে দেয়ার নিখুঁত পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়েছে । যার পেছনে ছিল খোদ ফিফা । তাই পাতানো  বিশ্বকাপ জয়ের পর  মেসি ছাড়িয়ে যেতে পারেন নি ম্যারাডোনাকে । বরং হয়ে গেছেন ফুটবল প্রতারক । তাঁর প্রতারণার কারণে ফুটবল দর্শকরা বিরক্ত হয়ে প্রতি ম্যাচে ‘দুয়ো’ দিচ্ছে । বিশ্বকাপ জয়ের পরও ক্লাব ফুটবলে আস্থা হারিয়েছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক । ইউরোপের কোন ক্লাব  আগামী মৌসুমের জন্য মেসিকে দলে নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না । এটা কি আর্জেন্টিনার পাপের ফল ,  নাকি মেসির ? পাপ যারই হোক , কাতার বিশ্বকাপের কলংক ১৯৭৮ সালকে ছাড়িয়ে গেছে,  সন্দেহ নেই । আর্জেন্টিনাবাসী ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপ নিয়ে খুব বেশী গর্ব করে না । যে কারণে বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় আর সেরা গোলদাতা হয়েও মারিও কেম্পেস হতে পারেন নি মহানায়ক । একদিন ২০২২ সালের বিশ্বকাপ নিয়েও আর্জেন্টিনাবাসী লজ্জা পাবে । মেসিকে তারাও চিনবে ‘ফুটবলের প্রতারক’ হিসেবে । সেইদিন হয়ত খুব বেশী দূরে না ।

আহাস/ক্রী/০০২