
ক্রীড়ালোক প্রতিবেদকঃ
আগামী ২১ জুন থেকে ভারতের মাটিতে শুরু হচ্ছে সাফ ফুটবল টুর্নামেন্ট । আট দল নিয়ে সাফের আসর চলবে ৪ জুলাই পর্যন্ত । আসন্ন সাফ ফুটবল টুর্নামেন্টের জন্য ৩৫ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ।
এক সময়ে দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিষ্ঠিত ফুটবল শক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়েছে বাংলাদেশ । যদিও তুলনায় সাফে নেই উল্লেখযোগ্য সাফল্য । ২০০৩ সালে নিজেদের মাটিতে বাংলাদেশ জয় করেছিল সাফের শিরোপা । যা বাংলাদেশের ফুটবলে সর্বোচ্চ সাফল্য । এছাড়া ১৯৯৯ আর ২০০৫ সালে ফাইনালে উঠে হেরেছে ভারতের কাছে ।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের জন্য সাফের শিরোপা স্বপ্ন ছাড়া কিছু না । ২০২১ সালে মালদ্বীপে পাঁচ দলের মধ্যে চতুর্থ হয় বাংলাদেশ । আর চলতি বছর তো প্রতিযোগিতা হতে চলেছে অনেক বেশী কঠিন । সাফের ছয় দেশের সাথে যোগ হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের লেবানন আর কুয়েত । সাথে বাংলাদশ ছাড়াও স্বাগতিক ভারত , পাকিস্তান , নেপাল , মালদ্বীপ আর ভুটান থাকছে ।
১৪তম সাফের সব খেলা অনুষ্ঠিত হবে ব্যাঙ্গালুরুতে । আট দল দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে । চার দল উঠবে সেমি ফাইনালে । বুধবার (১৭ মে) অনুষ্ঠিত হয় আসন্ন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবলের গ্রুপ ড্র । ভারতের দিল্লীতে অনুষ্ঠিত ড্রতে বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত হয়েছে ‘বি’ গ্রুপ । যেখানে বাংলাদেশের অন্য তিন প্রতিপক্ষ লেবানন, মালদ্বীপ ও ভূটান।
ভারত ও লেবাননকে দুই গ্রুপের দুই শীর্ষ ধরে গ্রুপিং করা হয়। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের র্যাংকিং আট দলের মধ্যে সর্বনিম্ন হওয়ায় দু’দল সর্বশেষ পটে ছিল। অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সাজি প্রভাকরণ শেষ পট থেকে প্রথমে দলের নাম উঠান। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাংলাদেশের নাম আগে ওঠে। দেশের নাম উঠানোর পর, আরেকটি পট থেকে তিনি গ্রুপের নামও তুলেন। সেখানে ‘বি’ গ্রুপে ওঠে।
অন্য দিকে গ্রুপ ‘এ’ তে ভারতের সঙ্গে আছে পাকিস্তান, নেপাল ও কুয়েত।
আসন্ন সাফ ফুটবলে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা লেবানন (৯৯) ও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত (১০১) । এখন পর্যন্ত সাফ ফুটবলে সর্বাধিক আটবার শিরোপা জিতেছে ভারত । ২০২১ সালের সাফেও ট্রফি জিতেছে তারাই । দুইবার শিরোপা আছে মালদ্বীপের । একবার করে বাংলাদেশ , আফগানিস্তান আর শ্রীলংকা জিতেছে সাফের ট্রফি ।
আসন্ন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সবচেয়ে শক্তিশালী দল লেবানন। আর সেই গ্রুপেই পড়েছে বাংলাদেশ।বাংলাদেশের র্যাংকিং ১৯২ । মালদ্বীপ অবস্থান করছে ১৫৪ আর ভূটান ১৮৫তম স্থানে । অর্থাৎ বাংলাদেশ গ্রুপের সবচেয়ে দুর্বল দল । গ্রুপের অন্য দু’দলের মধ্যে মালদ্বীপ ও ভূটানকে সাম্প্রতিক সময়ে হারানোর রেকর্ড নেই বাংলাদেশের। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে সর্বশেষ সেমিফাইনাল খেলেছে ২০০৯ সালে। এরপর আর গ্রুপের গণ্ডি পার হতে পারেনি। তাতে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করাটা বেশ কষ্টসাধ্য হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে কোচ হাভিয়ের কাবরেরার অধীনে ৩৫ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাফুফে (বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন) । প্রাথমিক দল থেকে বাদ পড়বেন আট জন। বাকি ২৭ জন নিয়ে হবে ক্যাম্প।
প্রাথমিক দল:
গোলরক্ষক : আনিসুর রহমান জিকো, মিতুল মারমা, শহিদুল আলম ও শ্রাবণ।
ডিফেন্ডার : কাজী তারিক রায়হান, ইয়াসিন আরাফাত, সাদউদ্দিন, রিমন হোসেন, বিশ্বনাথ ঘোষ, টুটুল হোসেন বাদশা, তপু বর্মন, ইশা ফয়সাল, মেহেদি হাসান মিঠু, রহমত মিয়া, মুরাদ হোসেন ও আলমগীর মোল্লা।
মিডফিল্ডার : মাশুক মিয়া জনি, সোহেল রানা, মজিবুর রহমান জনি, সোহেল রানা, শাহরিয়ার ইমন, রবিউল হাসান, জামাল ভূঁইয়া, হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস, আবু সাইদ, মোহাম্মদ হৃদয় ও মেহেদি হাসান রয়েল।
ফরোয়ার্ড : রাকিব হোসেন, সুমন রেজা, মতিন মিয়া, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, এলিটা কিংসলে, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, রফিকুল ইসলাম ও আমিনুর রহমান সজীব।
আহাস/ক্রী/০০৬