
ক্রীড়ালোক প্রতিবেদকঃ
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নক আউট পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে পিএসজি । তাদের হারিয়ে আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ ।
বুধবার (৮ মার্চ) অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় পিএসজিকে ২-০ গোলে হারিয়েছে বায়ার্ন । প্রথম লেগে পিএসজির মাঠেও ১-০ গোলের জয় পেয়েছিল বাভারিয়ানরা । তাতে দুই লেগ মিলিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ৩-০ গোলের জয়ে শেষ আট নিশ্চিত হয়েছে
কাগজে-কলমে পিএসজি বায়ার্নের চেয়ে অনেক শক্তিশালী । পোস্টের নীচে ইউরোপজয়ী ইটালিয়ান গিয়ানলুইগি ডোনারুম্মা আছেন । ডিফেন্সে দ্যানিলো পেরেইরা , সার্জিও র্যামস আর মার্কুইনহোসরা যে কোন বিচারেই সেরাদের কাতারে । আশরাফ হাকিমি , মার্কো ভেরাত্তি , নুনো মেন্দেজ আর ভিতিনহা নামগুলো ভরসা জাগায় । আর আক্রমণে লিওনেল মেসি এবং কিলিয়ান এমবাপ্পেরা তো জগতসেরা । শুধু মাঠে ছিলেন না নেইমার । তাতে কি ! পিএসজির যা স্কোয়াড , তাতে নেইমারকে ছাড়াই যে কোন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জয়ের সক্ষমতা আছে লে পেরিসিয়েনদের ।
কিন্তু সেটা তো হচ্ছে না । সর্বশেষ দুটি আসরেই পিএসজি বিদায় নিলো নক আউট পর্বে থেকে । অথচ এমবাপ্পে আর নেইমারের সাথে মিলে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জেতাবেন বলেই মেসিকে পার্ক ডি প্রিন্সেসে আনা হয়েছিল । কিন্তু মেসির আগমনের পর দুই মৌসুমেই নক আউট পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে পিএসজি । যা দলের অবনতির প্রমাণ দিচ্ছে ।
মেসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতেছেন চারবার । প্রতিটা বার্সেলোনার হয়ে । ২০১৫ সালে শেষবার ছুঁয়েছিলেন ইউরোপের সেরা ক্লাব আসরের ট্রফি । মেসি বার্সার হয়ে তবু ন্যু ক্যাম্পে ভাল করেছেন । যদিও ন্যু ক্যাম্পের বাইরে তাদের উড়িয়ে দিয়েছে এথেলতিকো মাদ্রিদ , রোমা , জুভেন্টাস আর লিভারপুলরা । নিরপেক্ষ পর্তুগালের স্টেডিয়ামে মেসির বার্সেলোনা তো ২০২০ সালে হেরেছে ৮-২ গোলে । ২০২১ সালে ন্যু ক্যাম্পেই হ্যাট্রিক করে মেসির বার্সাকে বিদায় দেন এমবাপ্পে ।
মেসি পিএসজির হয়ে গত মৌসুমে রিয়েল মাদ্রিদের বিপক্ষে নক আউট পর্বের প্রথম লেগে মিস করেন পেনাল্টি । যার দায় মেটায় পিএসজি । দুই ম্যাচে দুই গোল করেও পিএসজিকে কোয়ার্টার ফাইনালে নিতে পারেন নি এমবাপ্পে । এবারেও বায়ার্নের বিপক্ষে দুই লেগেই ঘুমিয়ে ছিলেন মেসি । মাঠে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায় নি । বায়ার্নের বিপক্ষে মেসির এমন হাল নতুন না । বার্সার হয়ে জার্মান জায়ান্টদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মেসি সাতবার খেলেছেন । ২০২০ সালে পর্তুগালের মাঠে দেখেছেন বার্সার হয়ে ৮-২ গোলের বেদনাদায়ক পরাজয় । সাত ম্যাচে মেসি জয়ের মুখ দেখেছেন দুইবার । গোল করেছেন চারটি আর এসিস্ট দুইটি । হেরেছেন চার ম্যাচে ।সাথে যোগ হল পিএসজিতে এসে নতুন পরাজয় ।
অথচ বায়ার্নের বিপক্ষে পিএসজির রেকর্ড ছিল উজ্জ্বল । অতীতের ১২ দেখায় দুই দল জিতেছে সমান ছয়টি করে ম্যাচ । ২০২০-২১ মৌসুমের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বায়ার্ন মিউনিখকে বিদায় করে পিএসজি উঠেছিল সেমিতে । নিজেদের একমাত্র চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফাইনালে যদিও হেরেছিল বায়ার্নের কাছে , কিন্তু হেড টু হেড লড়াইয়ে জার্মানদের বিপক্ষে পিছিয়ে ছিল না পিএসজি । পিএসজি কখনও বায়ার্নের বিপক্ষে দুই লেগেই টানা হারে নি । কিন্তু মেসির বায়ার্ন অভিশাপ তাদের প্রথমবারের মতো হারিয়ে দিল দুই লেগে ।
আহাস/ক্রী/০০৫