আহসান হাবীব সুমন/ক্রীড়ালোকঃ
কেবলমাত্র চতুর্থবারের মতো বিশ্বকাপ ফুটবলের মুলমঞ্চে খেলার সুযোগ পাচ্ছে ঘানা । তবে তাদের আছে ফুটবল বিশ্ব আসরে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা । যদিও বর্তমান সময়টা খুব ভাল যাচ্ছে না আফ্রিকার ‘ব্ল্যাক স্টার্স’ নামে পরিচিত দলটির । কিন্তু দলের কোচ ওত্তো হোদো নিশ্চিত , কাতার বিশ্বকাপেই সাফল্যের ধারায় ফিরবে ঘানা ।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে ঘানাঃ
স্বাধীন ঘানার ফুটবল ফেডারেশন গঠিত হয় ১৯৫৮ সালে । যদিও ১৯২০ থেকেই ব্রিটিশ উপনিবেশ হিসেবে গোল্ড-কোস্ট নামে সংগঠনটির অস্তিত্ব ছিল । ঘানা ১৯৬৩ সালে নিজ দেশের মাটিতে আয়োজন করে আফ্রিকার কাপ অফ নেশন্স । সেই আসরের ফাইনালে ঘানা ৩-০ গোলে হারিয়ে দেয় সুদানকে । ১৯৬৫ সালে তিউনিশিয়ায় অনুষ্ঠিত আসরেও ঘানা ধরে রাখে আফ্রিকান সেরার মুকুট । এবার ফাইনালে তারা ৩-২ গোলে হারায় আইভরি কোস্টকে । পরবর্তীতে ১৯৭৮ আর ১৯৮২ সালেও আফ্রিকা মহাদেশের সেরা টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঘানা । এছাড়া ফাইনালে হেরেছে পাঁচবার ।
ঘানা তিনবার আফ্রিকার বর্ষসেরা দলের পুরস্কার জিতেছে ।
ঘানার সেরা তারকাঃ
ঘানার সর্বকালের সেরা ফুটবলার নিঃসন্দেহে আবেদি পেলে । শুধু ঘানা নয় , আফ্রিকা ইতিহাসের অন্যতম সেরা তিনি । মধ্যমাঠের এই নিপুণ কারিগর দেশের হয়ে ৭৩ ম্যাচে ১৯ গোল করেছেন । নিজ দেশ ছাড়াও খেলেছেন কাতার , সুইজারল্যান্ড , ফ্রান্স , ইটালির ক্লাব ফুটবলে । ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে অলিম্পিক মার্সেইয়ের হয়ে জিতেছেন উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ । তিনবার হয়েছেন আফ্রিকার বর্ষসেরা । ১৯৮২ সালে ঘানাকে জিতিয়েছেন আফ্রিকান নেশন্স কাপ আর ১৯৯২ সালে খেলেছেন ফাইনাল । সেই আসরের সেরা খেলোয়াড়ের ‘গোল্ডেন-বল’ জিতেছেন । ১৯৯৩ সালে ঘানার বর্ষসেরা হয়েছেন । আর ২০১১ সালে দেয়া হয়েছে কিংবদন্তীদের ‘গোল্ডেন-ফুট’ । ক্লাব ক্যারিয়ারে ৪৭৯ ম্যাচে ১৫৭ গোলের মালিক আবেদি পেলে । ফ্রেঞ্চ ফুটবল সাময়িকীর বিবেচনায় তিনি তিনবার আফ্রিকার বর্ষসেরা ছিলেন । আর ১৯৯৩ সালে পেয়েছেন বিবিসি’র আফ্রিকার বর্ষসেরা ।
ঘানার সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার হিসেবে আসমোয়াহ গিয়ানকে বিবেচনায় আনতে হবে । দেশের হয়ে খেলেছেন যৌথ সর্বোচ্চ ১০৯ ম্যাচ । করেছেন ঘানার জার্সিতে সর্বোচ্চ ৫১ গোল । ঘানার হয়ে তিনটি বিশ্বকাপ খেলা একমাত্র ফুটবলার তিনি । খেলেছেন দেশের হয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ১১ ম্যাচ । বিশ্বকাপের মুলমঞ্চে তাঁর গোলে আছে ছয়টি । যা ঘানার সর্বোচ্চ ।ক্লাব ফুটবলে ৪১৬ ম্যাচে ২১৭ গোলের মালিক। এই ফরোয়ার্ড খেলেছেন ইটালির উদিনিসে , ইংল্যান্ডের সান্ডারল্যান্ড , ফ্রান্সের রেনের মতো পরিচিত ক্লাবে । এছাড়া আরব আমিরাত , চীনেও পা পড়েছে তাঁর । ক্যারিয়ার শেষ করেছেন ভারতের আইএসএল খেলে । ২০১০ সালে বিবিসি’র বিবেচনায় ছিলেন আফ্রিকা মহাদেশের সেরা ফুটবলার । এছাড়া আফ্রিকান বর্ষসেরায় একই বছর হয়েছেন দ্বিতীয় । ক্যামেরুনের কিংবদন্তী স্যামুয়েল ইতোর সাথে লড়েছিলেন তিনি সেরা হওয়ার লড়াই । যদিও শেষ পর্যন্ত ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয় নি ।তিনবার গিয়ান হয়েছেন ঘানার বর্ষসেরা । এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সেরা গোলদাতা হয়েছেন ২০১৪ সালে । একই বছর এএফসি’র সেরা বিদেশী খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন । ২০১০ এবং ২০১৫ সালে আফ্রিকান নেশন্স কাপের ফাইনালে উঠেও দলকে শিরোপা এনে দিতে পারেননি ।
ঘানার অন্যান্য সেরাদের মধ্যে এন্থনি ইয়োবা , মাইকেল এসিয়েন , করিম আব্দেল রাজ্জাকদের রাখতে হবে ।
বিশ্বকাপে ঘানা-
২০০৬ সালে ঘানার বিশ্বকাপ অভিষেক ইটালির কাছে ০-২ গোলে হেরে । তবে পরের ম্যাচেই ঘানা চেকদের হারিয়ে পেয়ে যায় বিশ্বকাপ ইতিহাসে নিজেদের প্রথম জয় । ম্যাচের মাত্র ২ মিনিটে আসমোয়াহ গিয়ান করেন ঘানার বিশ্বকাপ অভিষেক গোল । তৃতীয় ম্যাচে আমেরিকাকে হারিয়ে ঘানা উঠে যায় নক আউট পর্বে । যদিও সেখানে তাদের হারতে হয় ব্রাজিলের কাছে ।
২০১০ সালে ঘানা পায় সেরা সাফল্য । গ্রুপ পর্বে হারায় সার্বিয়াকে । ড্র করে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে । শেষ গ্রুপ ম্যাচে জার্মানির কাছে হারলেও দ্বিতীয় সেরা হয়ে উঠে যায় নক আউট পর্বে । সেখানে তাদের কাছে ২-১ গোলে হার মানে আমেরিকা ।
কোয়ার্টার ফাইনালে এক বিতর্কিত ম্যাচে হেরে বিদায় নিতে হয় ঘানাকে । উরুগুয়ের বিপক্ষে খেলা ১-১ গোলে ড্র থাকা অবস্থায় ঘানা পেনাল্টি পায় । ঘানার একটি নিশ্চিত গোল ফেরাতে গিয়ে হাত ব্যবহার করেছিলেন লুইস সুয়ারেজ । এতে লাল কার্ড দেখেন তিনি । আর ঘানার সবচেয়ে বেশী রেকর্ডের মালিক গিয়ান নষ্ট করন পেনাল্টি সুযোগ । পরে ঘানা হেরে যায় টাইব্রেকারে । আসলে যে কোন বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল আফ্রিকার দেশগুলোর জন্য ‘অভিশাপ’ । সেই ইংল্যান্ড বনাম ক্যামেরুন ম্যাচ থেকেই চলছে নানা বিতর্কিত ঘটনা । যা অব্যাহত ছিল ঘানা আর উরুগুয়ে ম্যাচেও ।
২০১৪ সালে ঘানা পেরুতে পারেনি গ্রুপপর্ব । আর পায়নি ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ মুলমঞ্চে খেলার সুযোগ ।
এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে ঘানা ১২ ম্যাচ খেলে ৪ জয়ের দেখা পেয়েছে । ড্র তিনটি আর হেরেছে পাঁচ ম্যাচে । ঘানার খেলোয়াড়রা বিশ্বকাপে গোল করেছে ১৩টি আর খেয়েছে ১৬টি ।
রোড টু কাতারঃ
আফ্রিকা অঞ্চলে ‘জি’ গ্রুপে ঘানার দারুণ লড়াই হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে । দুই দলের ছয় ম্যাচে পয়েন্ট ছিল সমান ১৩ । হেড টু হেডেও ছিল সমানে-সমান । শেষ পর্যন্ত মাত্র ১ গোলের ব্যবধান নিয়ে ঘানা গ্রুপের সেরা হয় । পায় প্লে অফের টিকেট । এই গ্রুপে আরও ছিল ইথিওপিয়া এবং জিম্বাবুয়ে । ঘানা ৬ ম্যাচে চার জয় আর একটি ড্র এবং পরাজয়ের সম্মুখীন হয় । দক্ষিণ আফ্রিকাও তাই । কিন্তু ঘানা ছয় ম্যাচে করেছিল ৭ গোল আর দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ গোল । অল্পের জন্য ঘানা উঠে যায় প্লে-অফ রাউন্ডে ।
প্লে-অফেও ঘানা হারাতে পারেনি নাইজেরিয়াকে । নিজেদের মাঠে 0-0 গোলে ড্র করে ঘানা । আর সুপার-ইগলদের মাঠে ম্যাচের ফলাফল ছিল ১-১ । অর্থাৎ , এওয়ে গোলের সুবাদে অনেকটা ভাগ্যের পরশ নিয়েই বিশ্বকাপে আসছে ঘানা ।
দলের বর্তমান তারকাঃ
ঘানার বর্তমান স্কোয়াডে বিশ্বমানের তারকার অভাব লক্ষণীয় । তবে আর্সেনালে খেলা মধ্যমাঠের তারকা থমাস পার্তেকেই বর্তমান সময়ে তারকা হিসেবে ধরা যায় । তিনি ক্লাব ক্যারিয়ারে খেলেছেন এথলেটিকো মাদ্রিদেও । এখানেই তিনি জিতেছেন লা লীগা , ইউরোপা লীগ , উয়েফা সুপার কাপ । খেলেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফাইনাল । ক্লাব ক্যারিয়ারে ম্যাচের সংখ্যা ৩৩১টি আর গোল ২৮টি । ২০২২-২৩ মৌসুমে গানারদের হয়ে ১৫ ম্যাচে ২ গোল করেছেন । ঘানার জার্সিতে ১৩টি গোল আছে তাঁর । সর্বশেষ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দলের সর্বোচ্চ তিনটি গোল তাঁর । ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে ঘানার বর্ষসেরা হয়েছেন ।
বর্তমান দলে সবচেয়ে বেশী ১০৯ ম্যাচ খেলেছেন আন্দ্রে আউই । ৩২ বছরের এই উইঙ্গার করেছেন ২৩ আন্তর্জাতিক গোল । বর্তমান স্কোয়াডে সবচেয়ে বেশী গোলের মালিক তিনিই । পেয়েছেন ২০১১ সালে বিবিসি’র আফ্রিকান সেরা ফুটবলার তকমা । একই বছর ছিলেন ঘানার বর্ষসেরা । ক্লাব ফুটবলে ফ্রান্সের মার্সেই , ইংল্যান্ডের সোয়ানসি সিটি , ওয়েস্ট হ্যামে খেলেছেন । গত দুই মৌসুম খেলেছেন কাতারের আল সাদে । তাই বিশ্বকাপে কাতারের পরিবেশের সাথে তাঁর পরিচয় আগে থেকে । এই পরিচিতিকে পুঁজি করে ভাল কিছু করার সম্ভাবনা আছে তাঁর ।
ঘানা দলে আরও আছেন ইনাকি উইলিয়ামস । যিনি স্পেনের জাতীয় দলের হয়েও খেলেছেন ১টি ম্যাচ , বসনিয়ার বিপক্ষে । স্পেনের বয়সভিত্তিক দলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে । স্পেনে জন্ম নেয়া ২৮ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড ইনাকি মায়েরসুত্রে ঘানাইয়ান । সেই সুবাদে ২০২২ সালেই যোগ দিয়েছেন ঘানা জাতীয় দলে । খেলেছেন মাত্র দুইটি ম্যাচ । বিশ্বকাপে ঘানা স্কোয়াডে তাঁর অন্তর্ভুক্তি বিশেষ ঘটনা । এতে দলের শক্তি বাড়বে সন্দেহ নেই । ইনাকি ২০১৪ সাল থেকেই খেলছেন এথলেটিক বিলবাওয়ে । এই ক্লাবের হয়ে ৩৫৫ ম্যাচে ৭৮ গোলের মালিক তিনি ।
ফরোয়ার্ড লাইনে ক্রিস্টাল প্যালেসে খেলা জর্ডান আউই , রেড স্টার বেলগ্রেডে উসমান বুকারি , আয়াক্সে খেলা তরুণ মিডফিল্ডার মোহাম্মদ কুদ্দুস কিংবা মায়োর্কার ইদ্রিসু বাবা দলের ভরসা ।
সাম্প্রতিক পারফর্মেন্স এবং কোচের আশাঃ
২০২২ সালটি খুবই বাজে অবস্থায় যাচ্ছে ঘানা জাতীয় ফুটবল দলের । জানুয়ারিতে আফ্রিকান নেশন্স কাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে তাদের । ১২টি মধ্যে জয় এসেছে ২ ম্যাচে । যার মধ্যে একটি নিকারাগুয়া আর অন্যটি মাদাগাস্কারের মতো দুর্বল দলের সাথে । এশিয়ার জাপান আর কাতারের কাছেও হেরেছে তারা ।
দলের কোচ ওত্তো হোদো ২০২২ সালেই পেয়েছেন নিয়োগ । ঘানাকে শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ টিকেট পাইয়ে দিতে পেরেছেন । কিন্তু তাতে তাঁর কৃতিত্বের চেয়ে ভাগ্যের ছোঁয়া ছিল বেশী । যাই হোক , আসন্ন বিশ্বকাপে ওত্তো হোদো নিজের স্কোয়াড নিয়ে আশাবাদী । তিনি মনে করছেন , বিশ্বকাপে নিজেদের সামর্থ্যের সেরাটা দেবে ঘানার ফুটবলাররা । একই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ঘানার হয়ে ৮৯ ম্যাচ খেলা সাবেক ফুটবলার জন পেইন্টসিল । বিবিসি’কে জানিয়েছেন , ‘ওত্তো হোদোর উপর আমাদের আস্থা আছে । তিনি নিজের কাজ বোঝেন । বিশ্বকাপে একটি ভাল স্কোয়াড এবং একাদশ আমাদের তিনি উপহার দেবেন । আমরা জানি তিনি আমাদের হতাশ করবেন না । ‘
ঘানার বিশ্বকাপ স্কোয়াডঃ
গোলরক্ষক- আবদুল নুরুদ্দিন , রিচার্ড ওফোরি , জো ওয়ালকট
রক্ষণভাগ- ড্যানিয়েল আমার্তে , জোসেফ আইদো , অ্যালেক্সান্ডার ডিকু , তারিক লাম্পতে , গিডিওন মেনসা , ডেনিশ ওদোই , মোহাম্মদ সালিসু , বাবা রহমান , আলিদু সেইদু
মধ্যমাঠ- মাজিদ আসিমেরু , ইদ্রিসু বাবা , মোহাম্মদ কুদ্দুস , ড্যানিয়েল কোফি কারে
আক্রমণভাগ- থমাস পার্তে , ফেলিক্স আফিনা-গিয়ান , আন্দ্রে আইউ , জর্ডান আইউ , ওসমান বুকারি , জোয়েল ফামেয়েহ , আবদুল ফাতাউ ইশাকু , জোসেফ পেইন্টসিল , কামালেদ্দিন সুলেমানা , ইনাকি উইলিয়ামস
বিশ্বকাপে লক্ষ্যঃ
‘এইচ’ গ্রুপ থেকে পর্তুগাল , উরুগুয়ে আর দক্ষিণ কোরিয়াকে টপকে নক আউট পর্বে ওঠা ঘানার প্রথম চ্যালেঞ্জ । বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাওয়া দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে ঘানা , ফিফা র্যাংকিংয়ে অবস্থান ৬১ । যেখানে পর্তুগাল ৯ , উরুগুয়ে ১৪ আর দক্ষিণ কোরিয়া ২৮ । ফিফা র্যাংকিং যতই না মানার হোক , তবু ঘানা এই মুহূর্তে খুব ভাল অবস্থায় নেই এটা সত্যি ।
বিশ্বকাপে ২৪ নভেম্বর পর্তুগালের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাঠে নামছে ঘানা । দ্বিতীয় ম্যাচ ২৮ নভেম্বর , প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়া । আর ২ ডিসেম্বর গ্রুপের শেষ ম্যাচে দুইবারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামছে ঘানা ।
সবশেষঃ
বিশ্বকাপ ফুটবল হচ্ছে এমন এক মঞ্চ , যেখানে অভাবিত ঘটনা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার । ২০১০ সালেও ঘানা কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবে , এমনটা হয়ত কেউ ভাবেনি । কিন্তু বিশ্বকাপ ফুটবল যে কোন দলের মধ্যে এনে দেয় আলাদা উজ্জীবনী শক্তি । বিশ্ব মঞ্চে নিজেদের সেরাটা মেলে ধরার প্রত্যাশা থেকেই ঘানা ২০২২ সালে অভাবিত কিছু করুক , এমনটাই প্রত্যাশা ।
আহসান/বিশ্বকাপ-২৩