Download WordPress Themes, Happy Birthday Wishes

বার্মিংহামে তরুছায়া পঞ্চম ‘ক্রীড়া মেলা-২০২২ অনুষ্ঠিত

সাহিদুর রহমান সুহেল:

ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে বাংলাদেশের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা নিয়ে ‘তরুছায়া পঞ্চম ক্রীড়া মেলা বার্মিংহাম-২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘বাংলাদেশ ক্রীড়া পরিষদ ইউকে সিআইসি আয়োজনে রোববার ১১ সেপ্টেম্বর ঐতিহাসিক স্মলহিথ পার্কে এ আয়োজন সম্পন্ন হয়।

মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পুর্বমূহুর্তে সদ্য প্রয়াত ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সকল অতিথিরা রানির জন্য এবং মেলার টাইটেল স্পনসর তরুছায়ার সভাপতি শেখ রওশন আরার স্বামী আব্দুল হাকিমের জন্য এক মিনিট নিরবতা পালন করেন। সদ্য প্রয়াত ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সকল অতিথিরা রানির জন্য খোলা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

পরে ব্রিটেন ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গেয়ে ও লাল-সবুজের বেলুন উড়ানোর মাধ্যমে উদ্বোধন করেন উপস্হিত বার্মিংহাম কমিউনিটির প্রথম সারির নেতৃবৃন্ধকে নিয়ে মেলা কমিটির আহ্বায়ক এস এম খালিক উদ্দিন।শোক বইতে কমিউনিটি নেতৃবৃন্ধের পাশাপাশি কাউন্সিলার মায়া আলী,কাউন্সিলার শাবিনা বানু এবং কাউন্সিলার আব্দুল জব্বার স্বাক্ষর করেন।

পর পর চারবার সফলতার পর এবার পঞ্চম বারের
মতো খোলা আকাশের নিচে ঐতিহাসিক স্মলহিথ পার্কে আয়োজিত ক্রীড়া মেলা জমে ওঠে সকলের পদচারণায়। শৈশবের স্মৃতি নিয়ে জোয়ান-বুড়োরা খেলেছেন তালের সাথে তাল মিলিয়ে। চমৎকার রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে যেন প্রকৃতিও বাঙালির আবেগের অংশীদার হয়েছিল। ঐতিহ্যবাহী সব খেলায় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সকলেই যেন ফিরে গেলেন সোনালী শৈশবে।

মেলার সার্বিক সহযোগিতায় ছিলো- লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাব, সোনালী সুপার মার্কেট,G10 প্রিন্টার্স।

ক্রীড়া মেলায় অন্যতম আকর্ষণ ছিল বার্মিংহাম বাংলাদেশ কমিউনিটি বনান মেলা কমিটির মধ্যকার কাবাডি ম্যাচে।ঐ কাবাডি ম্যাচে মেলার বিশেষ আকর্ষন সিলেটের জনপ্রিয় নাট্যাভিনেতা বেলাল আহমদ মুরাদ অংশ গ্রহন করেন। তিনি মহিলাদের সাথে ঐতিহ্যের আরেকটি খেলা হাড়ি ভান্গায় অংশ নেন।
দেশাীয় স্টল সেজেছিল ঐতিহ্যের খাবার নিয়ে। আগত হাজার দর্শক একটা মেলা সাধারন দর্শকদের সম্পৃক্ত নিয়ে যে মেলা প্রকৃত মেলা হয় সেটাই তারা উপভোগ করে আগামীতে আয়োজকদের প্রতি এ আয়োজন অব্যাহত রাখার আহ্বান করেন।মেলায় দর্শক,শিশু-কিশোরদের জন্য আয়োজন ফ্রি রাখায় আগতরা মেলার ভুয়শী প্রশংসা করেন।

অনেক আবেগ আর অনুভূতির এ ক্রীড়া মেলায় ছোট-বড় সবার অংশগ্রহণে বিলেতের যান্ত্রিক জীবনে নেমে আসে বাংলার হাওয়া। মুখরিত হয়ে স্মলহিথ পার্ক। ঘড়ির কাটাকে থামিয়ে একটুকরো বিস্কুটের জন্য দৌড়, কাবাডির দাগ কিংবা চোখবেঁধে হাড়ি ভাঙা, চেয়ার দৌড়ের একটি চেয়ার আসন পেতে অথবা প্রিয় লুডু খেলাযর ছক্কায় সকলেই স্মৃতিবিজড়িত হন বাংলার। এরই সাথে নতুনেরা পরিচিত হলো শিকড়ের সঙ্গে।

শৈশবের স্মতি নিয়ে শিশু-কিশোর,জুয়ান-বুড়া সর্ব শক্তি দিয়ে খেলেছেন হা-ডু-ডু-কানামাছি,হাড়ি ভান্গা,বিস্কুট দৌড়,মিউজিকাল চেয়ার,দড়ি ফাল ,বালিশ দৌড় কিংবা দৌড় প্রতিযোগিতায় জীবনের সেরা টাইমিং নিয়ে দিন শেষে পদক জয়ের পাশাপাশি বিলেতের যান্ত্রিক জীবনকে ক্ষনিকের জন্য ভুলে স্মল হিথ পার্কে বাংলার জমিন চাষাবাদ করে ফসল হিসেবে শৈশবের স্মৃতি নিয়ে বাংলাদেশীদের বাড়ি ফেরা ছিল এ মেলার স্বার্থকতা।

স/ক্রী/০০১