
ক্রীড়ালোক প্রতিবেদকঃ
মাত্র চব্বিশ ঘণ্টার ব্যবধানে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো আর নেইমার জুনিয়রের ব্যক্তিগত বাহন । তবে দুর্ঘটনায় রোনালদো বা নেইমার , কেউ হতাহত হয় নি ।
পর্তুগিজ মহাতারকা রোনালদো বর্তমানে পরিবার নিয়ে স্পেনের মায়োর্কাতে অবসর যাপন করছেন । সোমবার (২০ জুন) সেখানেই একটি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় একটি বাড়ির দেয়ালে সজোরে ধাক্কা মারে। গাড়ির আঘাতে বাড়ির দেয়াল ধ্বসে পড়ে । আর গাড়ির সামনের দিকেরে বেশ কিছু অংশ ভেঙে যায়। তদন্তকারীরা নিশ্চিত করেছেন যে, দুর্ঘটনায় অন্য কোনো গাড়ি জড়িত ছিল না এবং চালকও আঘাত পাননি। আর রোনালদো নিজে কিংবা তাঁর পরিবারের কেউ দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে ছিলেন না ।
বিলাসবহুল গাড়ির প্রতি রোনালদোর দুর্বলতার কথা সবাই জানে । তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রহে আছে অনেক গাড়ি । যার মধ্যে দুইটি সাথে করে নিয়ে গেছেন সিআর-সেভেন স্পেনে অবসর যাপনে । আর স্পেনেও গেছেন ব্যক্তিগত বিমানে ।
দুর্ঘটনার শিকার সুপার-কার বুগাত্তি ভেইরনের মুল্য প্রায় ২.২ মিলিয়ন ডলারে মতো। বাংলাদশি মুদ্রায় প্রায় ২০ কোটি ৪৪ লাখ টাকার বেশি।
এদিকে মঙ্গলবার (২১ জুন) মাঝ আকাশে বিপদে পড়ে নেইমারের ব্যক্তিগত বিমান । এই সময় নেইমার বোনের সাথে বিমানেই ছিলেন । তাই ঘটনায় প্রাণও হারাতে পারতেন তারা ।
ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য সান জানিয়েছে , বার্বাডোজে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন নেইমার। সেখান থেকে ব্যক্তিগত বিমানে করে ফিরছিলেন দেশে। বার্বাডোজ থেকে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটি খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে। এরইমধ্যে বিমানটিতে দেখা দেয় যান্ত্রিক গোলযোগ। প্রচণ্ড ঝাঁকুনি শুরু হয়। পাইলট জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। বাধ্য হয়ে উত্তর–পূর্ব ব্রাজিলের একটি বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে নেইমারের বিমান।
বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে খবর, ১০.৮ মিলিয়ন ডলারে লিগ্যাসি ৪৫০ মডেলের একটি বিমান কিনেছিলেন নেইমার। আট আসনের বিমানটি ঘণ্টায় ৫৩১ মাইল অতিক্রম করতে পারে। তবে সেই বিমানটিতেই উড়ে আসছিলেন কি না তা জানা যায়নি।
আহাস/ক্রী/০০২