ক্রীড়ালোক প্রতিবেদকঃ
চলমান বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপ টুর্নামেন্টের প্রথম এলিমিনেটর ম্যাচে ‘বিতরকিত’ আচরণ করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন মুশফিকুর রহিম । সতীর্থ নাসুম আহমেদকে মারতে উদ্যত হয়ে মুশফিক শাস্তি পাবেন- এমন ধারণাও করা হচ্ছিলো । যদিও শেষ পর্যন্ত মুশফিক বেঁচে গেছেন শাস্তির হাত থেকে ।
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু কাপের প্রথম এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বেক্সিমকো ঢাকা আর ফরচুন বরিশাল । ম্যাচে বরিশালের বিপক্ষে ৯ রানে জিতে ঢাকা আরেকটি সুযোগ পেয়েছে ফাইনালের ভাগ্য পরীক্ষার ।
বরিশালের বিপক্ষে উত্তেজনার ম্যাচেই বিতর্কিত কাণ্ড ঘটিয়েছেন ঢাকার অধিনায়ক মুশফিক । খেলা চলাকালীন ঢাকার অধিনায়কে মেজাজ হারিয়ে সতীর্থদের সঙ্গে উত্তেজিত আচরণ করতে দেখা গেছে। স্পিনার নাসুম আহমেদকে মারতে দুইবার হাতও উঠিয়েছিলেনি তিনি। মুসফিকের এমন আচরণে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অনেকেই এ ঘটনার জন্য মুশফিককে দুষতে থাকেন।
প্রথম ঘটনা বরিশালের ইনিংসের ১৩ তম ওভারের সময়। ওই ওভারে নাসুমকে পরপর দুটি ছক্কা মেরেছিলেন আফিফ। চাপের মুখেও এমন বোলিংয়ে বিরক্ত হয়েছিলেন মুশফিক। পরের বলে মিডউইেকেট বল ঠেলে সিঙ্গেল নেন আফিফ। তখণ বল কুড়িয়ে নাসুমের হাতে তুলে দেওয়ার সময় মুশফিককে মারমুখী আচরণ করতে দেখা যায়।
এরপর ইনিংসের ১৭তম ওভারে ঘটে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। শফিকুলের বলে শর্ট ফাইন লেগে আফিফ ক্যাচ কুলে দিলে পজিশন ছেড়ে সেটি ধরতে উইকেটের পেছন থেকে দৌঁড়ে যান মুশফিক। ক্যাচটি নিতে একই সঙ্গে ছুটে গিয়েছিলেন নাসুমও। যদিও শেষ পর্যন্ত নাসুম দাঁড়িয়ে মুশফিককে ক্যাচ নেওয়ার সুযোগ করে দেন, তবে ক্যাচটি নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে ফের একই ভঙ্গিতে নাসুমকে মারার জন্য উদ্যত হন মুশফিক!
এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ আর সংবাদ-মাধ্যমে দারুণ সমালোচনার মুখে পড়েন মুশফিক । সকলের বক্তব্য , মুশফিকের মত সিনিয়র আর জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়কের কাছ থেকে এমন আচরণ প্রত্যাশিত নয় ।
এই ঘটনায় নিজের ফেইজবুক পেইজে অবশ্য ক্ষমা চেয়েছেন মুশফিক । এমনকি মাঠের ঘটনায় আশংকা স্বত্বেও তাকে কোন শাস্তি পেতে হচ্ছে না । বেক্সিমকো ঢাকা কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘শাস্তির প্রশ্নই আসে না। মুশফিককে তো ম্যাচ রেফারি ডাকেনইনি, কোনো শুনানিও হয়নি।’
যদিও ম্যাচ রেফারি রকিবুল হাসান জানিয়েছেন , আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি সবাই হোটেলে জৈব-সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে অবস্থান করছেন। তাই মঙ্গলবার সকালে কোনও রিপোর্ট আসতে পারে। আর না আসলে এ বিষয়ে আর কিছুই হবে না। ‘
অর্থাৎ মুশফিকের বিষয়টা এখনও কিছুটা হলেও ঝুলে আছে ।
আহাস/ক্রী/০০২