Download WordPress Themes, Happy Birthday Wishes

পেপে গার্দিওলা আর ম্যান সিটির হ্যাট্রিক

ক্রীড়ালোক প্রতিবেদকঃ

২০১৯-২০ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শেষ কোয়ার্টার ফাইনালেও ঘটেছে অঘটন । অলিম্পিক লিও’র কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে বিশ্বের অন্যতম ধনী দল ম্যানচেস্টার সিটি । এই নিয়ে টানা তিনবার ইউরোপের সেরা ক্লাব আসরের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিলো পেপে গার্দিওলার দল ।

শনিবার (১৫ আগস্ট) লিসবনের হোসে আলভেলাদো স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে লিও ৩-১ গোলে হারিয়েছে ম্যান সিটিকে । সেই সাথে ফ্রান্সের প্রতিনিধিরা উঠে গেছে নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সেমি ফাইনালে ।

খেলার শুরু থেকে ম্যান সিটির বিপক্ষে আত্মবিশ্বাসী লিও গোল আদায় করে নেয় ২৪ মিনিটে । গোলটা করেন সিটির ‘পুরনো শত্রু’ কর্নেই। ২০১৮-১৯ চ্যাম্পিয়নস লিগে গ্রুপ পর্বে যখন লিও-র মুখোমুখি হয়েছিল সিটি, সেখানেও গার্দিওলার দলের বিপক্ষে দুই ম্যাচে ৩ গোল করেছিলেন ফ্রেঞ্চ ক্লাবটির এই উইংব্যাক।

পেপ গার্দিওলা দায়িত্ব নেওয়ার পর ইউরোপ সেরার মঞ্চে সিটির বিপক্ষে তিন ম্যাচে এই নিয়ে চার গোল করলেন কর্নেট । সিটিজেনদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে এই রেকর্ড আছে কেবল লিওনেল মেসির ।

দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য মরিয়া ম্যান সিটি সমতায় ফেরে ৬৯ মিনিটে । রহিম স্টারলিংয়ের দারুণ পাসে গোলটি করেন কেভিন ডি ব্রুইন ।

খেলার ৭৫ মিনিটের সময় অধিনায়ক মেমফিস ডিপেইর বদলে মুসা ডেম্বেলেকে মাঠে নামান লিও কোচ রুডি গার্সিয়া । সেই মুসা জোড়া গোল করে লিওকে তুলে আনেন সেমিতে ।

মাঠে নামার চার মিনিটেই গোল করেন মুসা ডেম্বেলে । তাতে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় সিটিজেনরা ।

৮৬ মিনিটে সিটিকে সমতায় নিয়ে আসার দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন স্টার্লিং। গ্যাব্রিয়েল হেসুসের ক্রস থেকে বল পেয়েছিলেন ছয় মিটার বক্সের ভেতরে। কিন্তু সেই বল ফাঁকা গোলপোস্টের ওপর দিয়ে পাঠিয়ে দেন এই ফরোয়ার্ড। স্টার্লিংয়ের মিসের পর ডাগআউটে মাটিতে হাঁটু গেঁড়ে লুটিয়ে পড়েন গার্দিওলা।

স্টার্লিংয়ের অভাবনীয় মিসের ৪৯ সেকেন্ডের মাথায় আবারও সিটির জালে লিও’র গোল। এডারসনের দায় তাতে অনেক বড়। আওয়ারের শট ঠেকিয়ে দিয়ে সেটি ডেম্বেলের পাতে তুলে দেন সিটির ব্রাজিলিয়ান শট স্টপার। ট্যাপ-ইন ফিনিশে এরপর বল জালে পাঠাতে মোটেও বেগ পেতে হয়নি ডেম্বেলের। তাতেই ৩-১ গোলের অভাবিত জয় নিয়ে সেমিতে ওঠার উল্লাসে মাতে লিও শিবির ।

এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সেমিতে ওঠা লিও’র প্রতিপক্ষ জার্মানির বায়ার্ন মিউনিখ । ২০০৯-১০ মৌসুমেও সেমিফাইনালে বায়ার্নের বিপক্ষেই খেলেছিল ।

আসরের আরেক সেমিতে জার্মানির লেইপজিগের প্রতিপক্ষ ফরাসী চ্যাম্পিয়ন পিএসজি । অর্থাৎ চলমান চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সেমি ফাইনালে হচ্ছে জার্মান-ফ্রান্স লড়াই ।

আহাস/ক্রী/০০১