Download WordPress Themes, Happy Birthday Wishes

আবাহনীর প্রতিশোধের মিশন !

ক্রীড়ালোক প্রতিবেদকঃ

দেশের মাটিতেই ঢাকা আবাহনী ক্রীড়া চক্র লিমিটেড শুরু করছে এএফসি ( এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন ) কাপের মিশন । মালদ্বীপের চ্যাম্পিয়ন মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের মিশন । বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি ।

২০২০ সালের এএফসি কাপে আবাহনীর মিশন একটু কঠিনই হতে চলেছে । ২০১৯ সালে এই আসরেই দেশের প্রথম ক্লাব হিসেবে জোনাল সেমিফাইনাল খেলে ইতিহাস গড়ে আবাহনী। এবার সেই আবাহনীকেই খেলতে হচ্ছে প্লে-অফ । জাতীয় লীগের রানার-আপ হিসেবে তারা পাচ্ছে এই সুযোগ । আর জাতীয় লীগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস খেলছে সরাসরি গ্রুপ পর্বে ।

এবারে আবাহনীকে গ্রুপ পর্বে জায়গা করে নিতে হবে পেরুতে হবে প্লে-অফের বাঁধা । এখানে আবার আবাহনীর ভয় মালদ্বীপের মাজিয়া ক্লাবটিকে নিয়ে । কারণ ২০১৭ সালে মালদ্বীপের মাজিয়ার বিপক্ষে দুইবারের দেখাতেই ০-২ গোলে হেরেছিল আবাহনী । ফলে আবাহনীর জন্য মাজিয়া যে কঠিন প্রতিপক্ষ তাতে কোন সন্দেহ নেই ।

আবাহনীর কোচ মারিও লেমোস মালদ্বীপের ক্লাবের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে জানিয়েছেন , ‘ আমাদের ধাপেধাপে এগুতে হবে। প্রথম ম্যাচটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘরের মাঠে জয় দিয়েই এএফসি কাপ মিশনটা শুরু করতে চাই আমরা। প্লে-অফ পর্ব টপকাতে পারলে পরের চিন্তা।’

আবাহনীর জন্য অনুপ্রেরণা , ২০১৯ সালের পারফর্মেন্স । গত আসরে প্রথমবারের এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল প্লে-অফ সেমি-ফাইনাল খেলেছিল আবাহনী। এই ধাপে ওঠার পথে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে চার ম্যাচের সবগুলোতে জিতেছিল তারা। গতবারের এই প্রাপ্তি থেকেও অনুপ্রেরণা নিচ্ছেন লেমোস।

আবাহনীর কোচ জানিয়েছেন , ‘ গতবার আমরা সেমি-ফাইনালে খেলেছি। এটা অনেক আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে। আবাহনী ভালো দল। আমাদের জেতা উচিত। গত মৌসুমে ঢাকায় আমরা একটা ম্যাচও হারিনি। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা। ‘

মাজিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে আবাহনী শিবিরের জন্য আছে দুইটি সুসংবাদ । ইনজুরির কারণে ফেডারেশন কাপে খেলতে না পারা নাবিব নেওয়াজ জীবন এখন পুরো ফিট । গত লীগে ১৬ গোল করা জীবন চোট কাটিয়ে আবাহনীর অনুশীলনে ফিরেছেন । এছাড়া অসুস্থতা কাটিয়ে অনুশীলনে ফিরেছেন টুটুল হোসেন বাদশা । এই দুই তারকাকেই মাজিয়ার বিপক্ষে পাওয়ার বিষয়ে পুরো আশাবাদী আবাহনী কোচ ।

দলের দুই বিদেশী তারকা কেরভেন্স ফিলস বেলফোর্ট ও সানডে চিজোবার উপর দারুণ ভরসা কোচের । তিনি অবশ্য জানিয়েছেন , ‘ আমাদের বিদেশিরা ভালো করছে। তবে একটা বিষয় হলো আমাদের অবশ্যই গোল করতে হবে। ফুটবলে কখনও বাজে দিন আসে, কখনও ভালো দিন আসে। বেলফোর্ট আড় সানডে জ্বলে উঠলে দিনটা আমাদের হবে , সন্দেহ নেই । ‘

এদিকে ঢাকার মাঠেই আবাহনীকে হারাবার অভিজ্ঞতা আছে মাজিয়ার । সেই কারণে অ্যাওয়ে ম্যাচ বলেও আত্মবিশ্বাসী মালদ্বীপের চ্যাম্পিয়ন দলের কোচ মারজান সেকুলোভস্কি । তিনি দুই বছর আগে পাওয়া সাফল্যের পুনরাবৃত্তি দেখতে চান আবারও ।

তিনি জানান , ‘ ফেডারেশন কাপে আবাহনীর ম্যাচ দেখেছি । তারা খুব শক্তিশালী দল । তার উপর তারা খেলবে ঘরের মাঠে । তারা তো বাড়তি সুবিধা পাবেই । ‘

মালদ্বীপের ক্লাবের কোচ আরও জানান , ‘ ২০১৭ সালে আমরা জিতেছিলাম আবাহনীর বিপক্ষে । কিন্তু সেটা এখন অতীত । প্রতিটা ম্যাচ নতুন । তবে আমরা কিন্তু দুই বছর আগের সেই সাফল্যটা আবারও চাই । ‘

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি মালদ্বীপের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে আবাহনী । প্লে-অফের হার্ডলস পার হলে আবাহনী সুযোগ পাবে গ্রুপ ‘ই’-তে খেলার। বিপিএল ফুটবল চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে সেখানে থাকছে বসুন্ধরা কিংস, ভারতের চেন্নাই সিটি ফুটবল ক্লাব এবং মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস।

আহাস/ক্রী/০০৩