Download WordPress Themes, Happy Birthday Wishes

নাটকীয়ভাবে ‘রাজা’র আসনে সৌরভ

ক্রীড়ালোক প্রতিবেদকঃ

বিরাট কোহলির নেতৃত্বে এখন বিশ্ব ক্রিকেটে রাজত্ব করছে ভারত । তবে ভারতের এই আগ্রাসী ক্রিকেটের সূচনা কিন্তু হয়েছিল সৌরভ গাঙ্গুলির নেতৃত্বে । এক সময়ে সাধারণ মানের দল ভারত সৌরভের হাত ধরেই প্রথম খেলতে শুরু করে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট । এরপর মহেন্দ্র সিং ধোনির আমলে যা পায় চরম উৎকর্ষ । আর কোহলি সেই ধারাকেই বয়ে নিয়ে চলেছেন সাফল্যের সাথে ।

সব মিলিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটে সৌরভ গাঙ্গুলির অবদান অপরিসীম । কোলকাতার ‘বাঙ্গালী বাবু’ সৌরভ অনেক আগেই ক্রিকেট ছেড়ে জড়িয়েছেন প্রশাসনিক কাজে । সেই সৌরভ এখন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রধান হতে চলেছেন । এটা এখন অনেকটাই নিশ্চিত বলে জানিয়েছে ভারতের প্রায় সব মিডিয়া ।

জানা গেছে , রবিবার (১৪ অক্টোবর) ভারতের মুম্বাইয়ে বিসিসিআইয়ের অনানুষ্ঠানিক এক সভায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তাব্যক্তিরা সৌরভের বিষয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে । সভায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে দেশটির অন্যান্য রাজ্যের বোর্ডগুলোর সদস্যরা সৌরভকে বোর্ড প্রেসিডেন্ট করার বিষয়টি চূড়ান্ত করেন।

সৌরভ গাঙ্গুলি বর্তমানে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল-এর প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সফল এই অধিনায়ক বিসিসিআই-এর টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করেছেন।

তবে সৌরভ গাঙ্গুলির ‘সভাপতি’ হিসেবে মনোনয়ন পাবার আগে হয়েছে অনেক নাটক । সাবেক বিসিসিআই এবং আইসিসি সভাপতি শ্রীনিবাসন চেয়েছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থার সাবেক প্রধান ব্রিজেশ প্যাটেলকে বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে । আর সেক্রেটারি হিসেবে তার পছন্দ ছিল বিজেপির পরাক্রমশালী নেতা অমিত শাহের পুত্র জয় শাহ। যিনি গুজরাট ক্রিকেট সংস্থায় অনেক দিন ধরেই গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন।

ভারতীয় ক্রিকেটে বরাবরই এন শ্রীনিবাসনের একটা একচ্ছত্র আধিপত্য় দেখা গিয়েছে। ফলে সৌরভ নয় , শ্রীনিবাসন সমর্থিত ব্রিজেশরাই ছিলেন বোর্ডের নেতৃত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে ফেভারিট । কিন্তু শনিবার নয়াদিল্লিতে অমিত শাহের সাথে সৌরভের বৈঠকের পর পাল্টে যায় পুরো চিত্র । তখনই ঠিক হয় , সৌরভ বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট আর অমিত শাহের পুত্র হচ্ছেন । ব্রিজেশ প্যাটেলকে বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখা যেতে পারে শেষ পর্যন্ত ।

বিসিসিআইয়ের পাঁচ রাজ্যের ইউনিট (তামিল নাড়ু, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ ও মনিপুর) চায় বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) অংশ না নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে। কিন্তু বোর্ডের অন্য সদস্যরা যত দ্রুত সম্ভব এজিএম করে ফেলার পক্ষে। এজিএম হলে কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর কিংবা প্রশাসনিক কমিটির কাছ থেকে ক্ষমতা ফিরিয়ে নেওয়ার যাবে দ্রুত।

তামিল নাড়ু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন, হরিয়ানা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ও মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন কমিটি অব অ্যাডমিনিসট্রেটরসের নিষেধাজ্ঞার কারণে এজিএম-এ অংশ নিতে পারবে না। বোর্ডের নীতিমালা বহির্ভূত কাজ করায় তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর। মুম্বাইয়ে আগামী ২৩ অক্টোবর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভা হওয়ার কথা। ২৩ অক্টোবর নির্বাচন হলে বোর্ডের এই তিনটি ইউনিট ভোট দিতে পারবে না।

আহাস/ক্রী/০০২