Download WordPress Themes, Happy Birthday Wishes

নেইমারের ইনজুরিতে মহাখুশী ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী তারকা

ক্রীড়ালোক প্রতিবেদকঃ

ফের ইনজুরিতে পড়েছেন নেইমার জুনিয়র । ছোটখাটো কোন ইনজুরি না । তাঁকে যেতে হবে শল্যচিকিৎসকের ছুরির নীচে । মাঠের বাইরে থাকতে হবে কমপক্ষে চার মাস । হিসেব অনুযায়ী নেইমারের ২০২২-২৩ মৌসুমে আর মাঠে নামা হচ্ছে না ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারের ।

নেইমারের ইনজুরিতে মন খারাপ ভক্তদের । নেইমারকে ছাড়া পিএসজিও চ্যাম্পিয়ন্স লীগ নিয়ে দুশ্চিন্তায় । চলতি সপ্তাহেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নক আউট পর্বে বায়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি হবে পিএসজি । ইতোমধ্যে নিজেদের মাঠে প্রথম লেগ হেরে কোণঠাসা লে প্যারিসিয়ানরা । এখন অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় জিততে না পারলে তাদের বিদায় নিতে হবে ইউরোপের সবচেয়ে বড় ক্লাব আসর থেকে । আরো একবার অধরা রয়ে যাবে পিএসজির চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জয়ের স্বপ্ন ।

নেইমারের ইনজুরিতে শুধু ভক্ত না , পিএসজির কোচ ক্রিস্টোভ গ্যলতিয়েরের কপালেও চিন্তার ভাঁজ । অথচ ফ্রান্সের সাবেক ফুটবলার ক্রিটোফ ডুগারি মনে করছেন , নেইমারের ইনজুরি শাপে-বর হয়েছে পিএসজির জন্য । নেইমারকে ছাড়াই ভাল খেলবে পিএসজি !

আরএমসি স্পোর্টের সঙ্গে আলাপে ডুগারি বলেছেন , ‘ নেইমারের ইনজুরি নিয়ে দুশ্চিন্তার কোন কারণ দেখছি না । বরং এটা পিএসজির জন্য সুসংবাদ । গ্যলতিয়ের নেইমারকে ছাড়াই শক্তিশালী দল গঠন করতে পারবে । ‘

ডুগারি জানিয়েছেন , ‘ নেইমারের খেলা দেখার চেয়ে বিরক্তিকর আর কিছু নেই আমার কাছে । তাঁর অযথা ড্রিবলিং , মাঠে এবং মাঠের বাইরের আচরণ সব কিছুই অসহ্য । সে মাঠে না নামলেই আমি খুশী । ‘

ফ্রান্সের সাবেক ফুটবলার ডুগারি বলেছেন , ‘ নেইমারকে ছেড়ে দিতে হবে । নেইমারকে নিয়ে পিএসজির কোন উন্নতি হয় নি । বরং নেইমারকে বাদ দিয়ে এমবাপ্পে আর মেসিদের উপর নির্ভর করা উচিৎ । তাতে দলের খেলার ধার বাড়বে । নেইমার পুরো খেলা নষ্ট করে দেয় ! ‘

২০১৭ সালে বিশ্বরেকর্ড ২২০ মিলিয়ন ট্র্যান্সফার ফি’র বিনিময়ে বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে যোগ দিয়েছিলেন নেইমার । পিএসজির হয়ে ১৭৩ ম্যাচে তাঁর গোলের সংখ্যা ১৪৮টি । লীগ ওয়ানে তাঁর এসিস্ট সংখ্যা ৪৮টি ।

চলতি মৌসুমের শুরু থেকে দারুণ ছন্দে ছিলেন নেইমার । ব্রাজিলিয়ান তারকা করেছিলেন ২৯ ম্যাচে ১৮ গোল আর ১৭ এসিস্ট । কিন্তু কাতার বিশ্বকাপের ইনজুরির পর তাঁর ছন্দে ভাঁটা পড়ে । আর এখন তো শেষ হয়ে গেলো বাকী মৌসুম ।

একটা সময় নেইমারকে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আর লিওনেল মেসির উত্তরসুরি হিসেবে বিবেচনা করা হত । কিন্তু ইনজুরির কারণে তিনি উঠতে পারেন নি সেরাদের কাতারে । ফুটবল ইতিহাসে নেইমারের মতো ইনজুরি-প্রবণ ফুটবলার আর দেখা গেছে কিনা এই নিয়ে গবেষণা হতে পারে ।

অন্যদিকে , ফ্রান্সের হয়ে ডুগারি ৫৫ ম্যাচে ৮ গোল করেছেন । ফরোয়ার্ড হলেও খুব বেশী সুনাম কুঁড়াতে পারেন নি । কিন্তু ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপ , ২০০০ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ আর ২০০১ সালের ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ জয়ীদের তিনি একজন ।

ক্লাব ফুটবলে ডুগারি ৪৬৭ ম্যাচে ৮৯ গোল করেছেন । খেলেছেন নিজ দেশের অলিম্পিক মার্শেই , বোর্দো , ইটালির এসি মিলান , স্পেনের বার্সেলোনা আর ইংল্যান্ডের বার্মিংহ্যামে ।

আহাস/ক্রী/০০৪