
ক্রীড়ালোক প্রতিবেদকঃ
বর্তমানে ধূমধাড়াক্কা ক্রিকেটের যুগে টি-টুয়েন্টি একটি বড় বিনোদন । আর আইপিএল (ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ) তো বিনোদনের প্রশ্নে সবাইকে ছাড়িয়ে । বিশ্বের সবচেয়ে বড় আসরগুলোর মধ্যে আইপিএল অন্যতম জায়গা দখল করে আছে। আইপিএল শুধু খেলাই না , ক্রিকেটারদের অর্থ উপার্জনের একটি বড় উৎস । আইপিএলে সুযোগ পেয়ে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে ওঠার সুযোগ পায় ক্রিকেটাররা । অথচ সেই আইপিএলে সুযোগ পেয়েও খেলা না হতে পারে সাকিস আল হাসানদের ।
৩১ মার্চ শুরু হবে আইপিএলের নতুন মৌসুম। আসন্ন আসরে বাংলাদেশ থেকে তিন ক্রিকেটারের অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। সাকিব ও লিটন খেলবেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে। মোস্তাফিজুর রহমান জার্সি জড়াবেন দিল্লি ক্যাপিটালসের। তবে তাদের নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা । আন্তর্জাতিক সুচির কারণে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা ব্যস্ত । চলছে আয়ারল্যান্ড সিরিজ । তাই এই মুহূর্তে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ছাড়তে নারাজ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ‘বিসিবি’। একই অবস্থায় শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররাও । এমন হলে , বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের প্রতি কঠোর হতে পারে আইপিএলের আয়োজক ‘বিসিসিআই’ ।
ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানা যায়, নিলামে নাম দিয়ে দল পাওয়ার পর কয়েকটি দেশের ক্রিকেটারদের পেতে নানা জটিলতার মোকাবেলা করতে হচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের। যার মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা। আসন্ন আসর হতে সাকিব আল হাসান-লিটন দাসদের নিলামে অংশগ্রহন নিয়ে কঠোর সিদ্ধান্তের পথে হাঁটতে যাচ্ছে আইপিএলের দলগুলো।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে আইপিএলের এক ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তা জানিয়েছেন, ‘ আমরা এমন পরিস্থিতিতে আছি যে আমরা বিসিসিআইকে অভিযোগ দিতে পারি না, যেন তারা অন্যান্য বোর্ডদের রাজি করায়। তবে পরের মৌসুম থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা অবশ্যই সতর্ক থাকবে তাদের (বাংলাদেশিদের) দলে নেয়ার ক্ষেত্রে।’
‘দেখেন গতবছর তাসকিনকে অনাপত্তিপত্র দেয়নি, এবার সাকিবদের দিচ্ছে না! তারা (বিসিবি) যদি না চায় তাদের খেলোয়াড়রা অংশ নেক, তাহলে তাদের নিবন্ধন কেন করতে দেয়! কিন্তু অবশ্যই এখন থেকে বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের নিয়ে আমাদের ধারণা বদলে যাবে।’
গেল আসরে নিলামে দল না পেলেও বদলি ক্রিকেটার হিসেবে তাসকিন আহমেদকে দলে নিতে চেয়েছিলেন লক্ষ্ণৌ সুপার জায়েন্টস। কিন্তু বিসিবি শেষ পর্যন্ত এই পেসারকে এনওসি দেয়নি। আসন্ন ১৬তম আসরে সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান ও লিটন দাসকে এখনো অনাপত্তিপত্র দেয় নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। যা নিয়ে রীতিমত চটেছেন ফ্রাঞ্চাইজি কর্তারা।
বিসিসআইয়ের সেই কর্তা বলেন, ‘বিষয়টি পুরোপুরি ক্রিকেটারদের ওপর। তারা কিভাবে তাদের বোর্ডকে রাজি করাবেন। ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড বা অন্য দেশের খেলোয়াড়রা এই পথটি খুঁজে বের করেছে, তাদের বোর্ডও বাঁধা দিচ্ছে না। আইপিএলের মান নিয়ে তো কোনো সন্দেহ নেই। এছাড়া তাদের বোর্ডও আইপিএল থেকে তাদের ক্রিকেটার খেলায় লভ্যাংশ পেয়ে থাকে। এখন সিদ্ধান্ত পুরোপুরি খেলোয়াড়দের।’
আন্তর্জাতিক সূচির জটিলতার কারণে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা আইপিএলের শুরু থেকে খেলতে পারছেন না। তাদের বোর্ডও অনাপত্তিপত্র দিচ্ছে না। এই অবস্থায় আগামী আসর থেকে কঠিন হওয়ার সংকেত দিয়েছে ফ্রেঞ্চাইজির এক কর্মকর্তা।
আহাস/ক্রী/০০৮