Download WordPress Themes, Happy Birthday Wishes

নিষিদ্ধ হচ্ছেন লোকেশ রাহুল আর রশিদ খান?

ক্রীড়ালোক প্রতিবেদকঃ

২০২২ সালের এপ্রিলে মাঠে গড়াবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের (আইপিএল) পরবর্তী আসর । আসন্ন টুর্নামেন্টের সব খেলা নিজেদের মাটিতেই আয়োজনের পরিকল্পনা করছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ‘বিসিসিআই’ । চলতি ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি কিংবা শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে খেলোয়াড় নিলাম । আগামী আসরে আট দলের পরিবর্তে অংশ নেবে দশটি ফ্রেঞ্চাইজি । নতুন দুই ফ্রেঞ্চাইজি হিসেবে খেলার সুযোগ পাচ্ছে লক্ষ্ণৌ আর আহমেদাবাদ ।

আসন্ন নিলামকে সামনে রেখে মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) আইপিএলের পুরনো আট ফ্রেঞ্চাইজি জমা দিয়েছে নিজেদের রিটেইন তালিকা । লক্ষ্ণৌ আর আহমেদাবাদ ছাড়া বাকীরা পূর্ববর্তী স্কোয়াড থেকে চারজন করে খেলোয়াড় ধরে রাখতে পারবে । নতুন দুই ফ্রেঞ্চাইজিকে যেহেতু নতুন করে দকয়াদ সাজাতে হবে , তাদের ক্ষেত্রে খেলোয়াড় ছেড়ে দেয়া বা ধরে রাখার কোন সুযোগ নেই ।

এদিকে ক্রিকেটার রিটেইন তালিকায় সানরাইজার্স হায়েদ্রাবাদ রাখে নি রশিদ খান আর পাঞ্জাব কিংস লোকেশ রাহুলকে । তারা স্বাভাবিকভাবে দল ছাড়লে কোন বিষয় ছিল না । কারণ দলবদল যে খেলার অংশ । কিন্তু এই দুই তারকার বিরুদ্ধে উঠেছে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ ! এই অভিযোগ করেছে খোদ দুই খেলোয়াড়ের ফ্রেঞ্চাইজিরাই ।

জানা গেছে , আর্থিক কারণে অর্থাৎ বেশী পারিশ্রমিকের জন্য হায়েদ্রাবাদ ছাড়ছেন রশিদ খান । আর লোকেশ আগেই পাঞ্জাব ছাড়ার কথা জানিয়ে রেখেছেন , যদিও কারণ অজানা ।

অথচ রশিদ আর লোকেশের সাথে হায়েদ্রাবাদ আর পাঞ্জাবের চুক্তি এখনও আছে বলে দাবী সংশ্লিষ্ট ফ্রেঞ্চাইজিদের । কিন্তু চুক্তি থাকাকালীন এই দুজন আগামী মৌসুমের জন্য লখনউ ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে আলোচনা করেছেন। যা বিসিসিআইয়ের নিয়ম বিরুদ্ধ। তাই এ ব্যাপারে পাঞ্জাব ও সানরাইজার্স বিসিসিআই বরবাবর অভিযোগ জানিয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে বিসিসিআই। তদন্তও শুরু করেছে। অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হলে দুজনে ১ বছরের জন্য আইপিএল থেকে বহিস্কার হবেন।

অবশ্য বিসিসিআইয়ের একজন মুখপাত্র ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। মৌখিকভাবে আমাদের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। আমরা বিষয়টা দেখছি। সত্যি প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’

উল্লেখ্য , ২০১৭ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদেই আইপিএলে অভিষেক ঘটে রশিদ খানের। তখন থেকেই লেগস্পিন জাদুতে তিনি বিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের বিব্রত করে চলেছেন। গত পাঁচ মৌসুমে তিনি ৭৬ আইপিএল ম্যাচ খেলে ৯৩টি উইকেট নিয়েছেন। এর মধ্যে দুই আইপিএলে তিনি ২০ কিংবা ততোধিক উইকেট নিয়েছেন রশিদ। ২০২০ সালে দুবাইয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ৪-০-৭-৩ বোলিং স্পেলটিই আইপিএলে রশিদের সেরা বোলিং।

অন্যদিকে ২০১৩ থেকে আইপিএল খেললেও পাঞ্জাবের হয়ে লোকেশ রাহুল খেলছেন ২০১৮ সাল থেকে। নিজের আইপিএল ক্যারিয়ারে মোট ৩২৭৩ রানের ২৫৪৮ রানই পাঞ্জাবের হয়ে করেছেন রাহুল। আইপিএলের দুই সেঞ্চুরির দুটিই তিনি করেছেন পাঞ্জাবের হয়ে। ২০২০ সালে দুবাইয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে ১৩২ রানের অপরাজিত ইনিংসটি আইপিএলে রাহুলের সেরা ইনিংস।

আহাস/ক্রী/০০৩