ক্রীড়ালোক প্রতিবেদকঃ
কদিন আগেই ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতা ইংল্যান্ড টেস্ট ম্যাচে চাপে পড়ে গিয়েছিল নবাগত টেস্ট খেলুড়ে দেশ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে । যদিও বড় দলের অভিজ্ঞতায় ইংল্যান্ড শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতেছে ১৪৭ রানের ব্যবধানে । আর ১৮২ রানের সহজ টার্গেট পেয়েও সেটা কাজে লাগাতে পারে নি অনভিজ্ঞ আয়ারল্যান্ড । বরং চতুর্থ ইনিংস ৩৮ রানে অল আউট হয়েছে । যা টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড । আর গত সোয়া শ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ।
বিখ্যাত লর্ডসে আয়রাল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের প্রথম ইনিংসে স্বাগতিক ইংল্যান্ড সবাইকে অবাক করে অল আউট হয় ৮৫ রানে । জবাবে নিজদের প্রথম ইনিংসে ২০৭ রান করে আইরিশরা পায় ১২২ রানের লিড । ইংলিশদের দ্বিতীয় ইনিংস ছিল ৩০৩ রানে । অর্থাৎ জয়ের জন্য আয়ারল্যান্ডকে করতে হত মাত্র ১৮২ রান । কিন্তু সেটা তারা পারে নি । বরং গড়েছে চতুর্থ ইনিংসে তৃতীয় সর্বনিম্ন দলীয় স্কোরের রেকর্ড ।
আগের দুইটি সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড দক্ষিণ আফ্রিকার । ১৮৯৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একবার ৩০ রানে আর একবার ১৮৯৯ সালে ৩৫ রানে চতুর্থ ইনিংসে অল আউট হয় প্রোটিয়ারা ।
দ্বিতীয় ইনিংসেও যে ইংল্যান্ড খুব প্রতাপের সঙ্গে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল এমন নয়। মার্ক লিচ বলতে গেলে একাই টেনে নিয়ে যান দলকে। তার ৯২ রানের ইনিংসে ভর করে টেস্টের তৃতীয় দিনে ইংলিশরা অলআউট হয় ৩০৩ রানে।
এদিন আবার বৃষ্টিও বাগড়া দিয়েছিল। সেই বৃষ্টিভেজা পিচে আইরিশদের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৮২ রানের। প্রথম ইনিংসের মতো খেলতে পারলে বিশ্বজয়ীদের কাঁদাতে পারতো উইলিয়াম পোর্টারফিল্ডের দল।
কিন্তু বড় দল বলে কথা। বৃষ্টিভেজা পিচের পুরো ফায়দাটা কাজে লাগান ইংলিশ দুই পেসার ক্রিস ওকস আর স্টুয়ার্ট ব্রড। তাদের আগুনে বোলিংয়ের সামনে আইরিশ ব্যাটসম্যানরা ১৬ ওভার পর্যন্ত দাঁড়াতে পারেননি। ১৫.৪ ওভারে আয়ারল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ৩৮ রানেই। দলের ১০ ব্যাটসম্যানের মধ্যে দুই অংক ছুঁতে পারেন মাত্র একজন, ওপেনার জেমস ম্যাককলাম (১১)। হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচটা পোর্টারফিল্ডের দল হেরেছে ১৪৩ রানের বড় ব্যবধানে।
আইরিশদের এই স্বপ্ন ভাঙার মূল হোতা টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং করা ক্রিস ওকস। ইংলিশ এই পেসার মাত্র ১৭ রানে নেন ৬টি উইকেট। ১৯ রান দিয়ে বাকি ৪টি উইকেট নেন ব্রড।
আহাস/ক্রী/০০৯